|
ফলো করুন |
|
|---|---|
ক্রিকেটাররা মাঠে খেলতে নামলে একে অপরকে ব্যঙ্গ করেন— এটা অস্বাভাবিক নয়। সেটি খেলা চলাকালীন, মাঠ ছেড়ে দেওয়ার পর সব ভুলে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক বিরাজ করে সবার মধ্যে।
কিন্তু পাকিস্তান-ভারতের দুই অলরাউন্ডারের মধ্যে সম্পর্কটা একটু ব্যতিক্রম। খেলোয়াড়ি জীবন শেষেও তাদের শত্রুতা কমেনি। সুযোগ পেলেই একে অন্যকে খোঁচা মেরে কথা বলেন।
পাকিস্তানের সাবেক ক্রিকেটার শহিদ আফ্রিদি এবং ভারতের গৌতম গম্ভীরের মধ্যে সম্পর্কটা এমনই। দুজনই এখন অবসরে। তবুও একে অন্যকে আক্রমণ করে কথা বলে থাকেন প্রায় সময়।
আফ্রিদি নিজের লেখা বইয়ে গম্ভীরকে ধুয়ে দিয়েছেন। ’গেম চেঞ্জার’ বইয়ে আফ্রিদি লিখেছেন, ’গম্ভীরের আচরণ এমন যেন সে ডন ব্র্যাডম্যান ও জেমস বন্ডের সংমিশ্রণ। গম্ভীরের কোনো ইতিবাচক দিক নেই, ওর পুরোটাই নেতিবাচকতা।’
আফ্রিদির এই বক্তব্যের পর অবশ্য চুপ থাকেননি গম্ভীরও। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম টুইটারে আফ্রিদিকে ধুয়ে দিয়েছেন তিনি। ভারতের এই সাবেক ব্যাটসম্যান লিখেছেন, ’যে নিজের বয়সই মনে রাখতে জানে না সে কীভাবে আমার রেকর্ড মনে রাখবে।'
এখানেই শেষ নয়। তিনি আরও লিখেন, 'আফ্রিদিকে মনে করিয়ে দিচ্ছি, ২০০৭ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ ফাইনাল, ভারত বনাম পাকিস্তান—গম্ভীর ৫৪ বলে ৭৫ রান আর আফ্রিদি ১ বলে ০ রান। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে, আমরা সেদিন শিরোপা জিতেছি। আর হ্যাঁ, আমার সব সময় মিথ্যাবাদী, বিশ্বাসঘাতক ও সুযোগসন্ধানীদের সঙ্গে সমস্যা ছিল।’
মজার ব্যাপার হচ্ছে এই দুই তারকাকে আবারও দেখা যাবে মাঠে। কাতারে শুক্রবার (১০ মার্চ) তৃতীয়বারের মতো লিজেন্ডস লিগ ক্রিকেট (এলএলসি) খেলা শুরু হয়েছে। সেখানে ইন্ডিয়ান মহারাজাস দলের নেতৃত্ব দিবেন গম্ভীর। আর এশিয়া লায়নসের অধিনায়ক শহিদ আফ্রিদি। এখন দেখা যাক আবার তারা দ্বন্দ্বে জড়ায় কিনা।
ওমান এবং ভারতে প্রথম দুটি সংস্করণের সাফল্যের পর, কাতারের দোহার এশিয়া টাউন ক্রিকেট স্টেডিয়াম এলএলসি তৃতীয়বার আয়োজন করা হচ্ছে। এলএলসিতে অংশ নেওয়া তিনটি দল হলো- ওয়ার্ল্ড জায়ান্টস, ইন্ডিয়ান মহারাজাস এবং এশিয়া লায়ন্স। ক্রিকেটের কিংবদন্তি খেলোয়াড়রা এই তিন দলে অংশ নেবেন।
সাবেক ভারতীয় অধিনায়ক এবং প্রধান কোচ রবি শাস্ত্রী লিগ কমিশনার। এই সিরিজের জন্য আটটি ম্যাচ নির্ধারিত করা হয়েছে। সবগুলোই এশিয়া টাউন ক্রিকেট স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত হবে।
ফুল স্কোয়াড
ভারত মহারাজাস
গৌতম গম্ভীর (অধিনায়ক), হরভজন সিং, ইরফান পাঠান, ইউসুফ পাঠান, মোহাম্মদ কাইফ, এস শ্রীশান্ত, অশোক ডিন্ডা, প্রজ্ঞান ওঝা, সুরেশ রায়না, রবিন উথাপ্পা, পারবিন্দর আওয়ানা, মানবিন্দর বিসলা (উইকেট কিপার), রেতিন্দর সিং সোধি, প্রবীণ কুমার, প্রবীণ তাম্বে ও স্টুয়ার্ট বিনি।
এশিয়া লায়ন্স
শহিদ আফ্রিদি (অধিনায়ক), আসগর আফগান, তিলকারত্নে দিলশান, মিসবাহ-উল হক, মোহাম্মদ হাফিজ, দিলহারা ফার্নান্দো, শোয়েব আখতার, উপুল থারাঙ্গা (উইকেটরক্ষক), পারস খাডকা, থিসারা পেরেরা, আবদুর রাজ্জাক, ইসুরা, ইসুরা। উদানা, মোহাম্মদ আমির, নওরোজ মঙ্গল, সোহেল তানভীর ও দিমান ঘোষ (উইকেট কিপার)।
ওয়ার্ল্ড জায়ান্ট
অ্যারন ফিঞ্চ (অধিনায়ক), ব্রেট লি, মর্নে ভ্যান উইক, ক্রিস গেইল, শেন ওয়াটসন, রস টেলর, রিকার্ডো পাওয়েল, মন্টি পানেসার, কেভিন ও'ব্রায়েন, টিনো বেস্ট, দিনেশ রামদিন (উইকেটরক্ষক), জ্যাক ক্যালিস, হাশিম আমলা, ক্রিস্টোফার এমপোফু, লেন্ডল সিমন্স ও পল কলিংউড।
সময়সূচি
১০ মার্চ: ভারত মহারাজাস বনাম এশিয়া লায়ন্স
১১ মার্চ: ওয়াল্ড জায়ান্ট বনাম ভারতীয় মহারাজাস
১৩ মার্চ: এশিয়া লায়ন্স বনাম ওয়ার্ল্ড জায়ান্টস
১৪ মার্চ: এশিয়া লায়ন্স বনাম ভারত মহারাজাস
১৫ মার্চ: ভারতীয় মহারাজাস বনাম ওয়ার্ল্ড জায়ান্টস
১৬ মার্চ: ওয়ার্ল্ড জায়ান্টস বনাম এশিয়া লায়ন্স
১৮ মার্চ: এলিমিনেটর
১৯ মার্চ: ফাইনাল
